
ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে আনপ্লেএবল ছবিটি
ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে আনপ্লেএবল ছবিটি, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখানো ছাড়া।
নির্মাণ শুরুর প্রায় আট বছর পর ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয় সেন্সরশিপের জন্য। সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা
ছবিটি দেখার অযোগ্য ঘোষণা করেন। এরপর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ছবিটি মুক্তির উদ্যোগ নেন নির্মাতা
রুবেল আনুশ।এরপর থেকে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। সেন্সর
বোর্ডের সদস্য অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস মনে করেন, বিষয়টি দেশীয় আইনকে উপেক্ষা করা। এতে যে
অশ্লীলতা আছে, তা ডিজিটাল আইনে মামলাও হতে পারে।২০১৪ সালে রুবেল আনুশ শুরু করেন
‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সিমলা ও মামুন। ছবির শুটিং চলাকালীন নানা সমস্যা
দেখা দেয়। প্রযোজক-প্রযোজক, প্রযোজক-অভিনেত্রী দ্বন্দ্বের কারণে ছবিটি গত ছয় বছরে আলোর মুখ
দেখেনি।ছবিটি সমাজে খারাপ বার্তা দেবে বলেও আশঙ্কা করছেন অভিনেত্রী সিমলা।
আরও নতুন নিউস পেতে আমাদের সাইট:tenicalbn.xyz
ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে আনপ্লেএবল ছবিটি
কালের কণ্ঠকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি আমার গল্প জানি। আমি আর কিছু জানি না। আমার চরিত্র একজন মধ্যবয়সী নারীর। তিনি অসম প্রেমে আসক্ত হয়ে ব্যক্তিগত জীবনে নানা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। আমি মনে করি না সেন্সরের এটি নিয়ে মাথাব্যথা আছে। হয়তো অন্য কিছু আছে যা সমাজে খারাপ বার্তা দেবে। ‘তিনি বলেন, ছবিটি প্রথম ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছিল। বোর্ড সদস্যরা কিছু কাটছাঁট করেছেন। আমি যতদূর জানি, পরিচালনা পর্ষদ না মেনে নাম পরিবর্তন করে ‘প্রেমকাহন’ করা হয়েছে। সেন্সর বোর্ড ছবিটি আবার দেখেছে এবং প্রদর্শনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করেছে।শুরুতে ছবির নাম ছিল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। তখন সেন্সর বোর্ড ছবির অনেকটা কাটছাঁট করতে বলে। পরিচালক আংশিক নাম কেটে ছবি জমা দেন। এই শেষ রক্ষা হয়নি. সেন্সর বোর্ড অশ্লীলতা ও আরও কিছু কারণ দেখিয়ে ছবিটি দ্বিতীয়বার বন্ধ করে দেয়।সেন্সর বোর্ডের আপত্তিতে ক্ষুব্ধ নির্মাতা রুবেল আনুশ।
বিকল্প উপায়ে দর্শকদের কাছে পৌঁছানোর
সিদ্ধান্ত নেন তিনি, ‘আমি আর আপিল করব না। আবার কাটলেও জমা দেব না। যদি না হয়, তাহলে আমাকে বিকল্প খুঁজতে হবে। ‘পরে ছবিটি ইউটিউবে মুক্তি পায়। ছবিটির একটি ছোট অংশ ভুয়া বলে দাবি করেন তিনি। অসম প্রেম এবং যৌনতার অংশটি ইতালীয় অভিনেত্রী মনিকা বেলুচের ‘মালিনা/মালেনা’ সিনেমা থেকে অনুকরণ করা হয়েছে।প্রদর্শক সমিতির সহ-সভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, “যেহেতু প্রযোজকরা প্রথমে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাই আইনগত ত্রুটি থাকলে তিনি তা সংশোধন করতে পারতেন, এমনটা নয়। কিন্তু সেই সুযোগ নেই। তিনি আইন এড়িয়ে অন্য পথে গিয়ে ছবিটি ইউটিউবে রিলিজ করেন যা আইনের লঙ্ঘন।কালের কণ্ঠ কথা বলেছেন সেন্সর বোর্ডের সদস্য অরুণা বিশ্বাসের সঙ্গে। “এটি আসলে একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি অখাদ্য,” তিনি বলেছিলেন। সিনেমার একটা ধারাবাহিকতা আছে। এর কোনো ধারাবাহিকতা নেই। গল্পটা বেমানান।
অপ্রয়োজনীয় অশ্লীলতা এমন একটি
বিষয়বস্তু যা আসলে একটি ফিল্ম সেন্সর করা কঠিন করে তোলে।কলকাতার টিভি চ্যানেল স্টার জলসার ‘আমি সিরাজের বেগম’ ধারাবাহিকে গুলশানার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন মোহনা মীম নামের এক বাংলাদেশি মেয়ে।বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ‘জীবন পাখি’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। আত্মহত্যা বিরোধী গল্প নির্ভর সিনেমাটি পরিচালনা করছেন আসাদ সরকার। মীমের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।পরিচালকের ভাষ্য, হতাশাগ্রস্ত তরুণদের বাঁচিয়ে রাখার ইচ্ছা নিয়েই গল্পটি লিখেছি।সিনেমার গল্পে দেখা যাবে, আত্মহত্যা করতে গিয়ে আজাদ আবুল কালামের হাতে ধরা পড়েন মীম। আজাদ তখন একটি অন্ধকার ঘরে তার মুখোমুখি হয় এবং কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্যের মুখোমুখি হয়; যা মৃত্যুর চেয়েও ভয়াবহ।গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) থেকে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে জলছবি মিডিয়া প্রযোজিত সিনেমাটির শুটিং। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও ছবিটির বাকি অংশের শুটিং হবে গোদাগাড়ী জেলার প্রেমতলী গ্রামে।